সেমিফাইনালে থাকার জন্য একটি ম্যাচ জিততে হবে পাকিস্তানকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৩ রানে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। বৃষ্টির কারণে কিছুক্ষণের জন্য ম্যাচ স্থগিত হওয়ার পর লুইসের মতে ডাকওয়ার্থ 14 ওভারে 142 রানে 186 রানের লক্ষ্য কমিয়ে দেয়। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা 9 ওভারে 4 উইকেট হারিয়ে 69 রান করে। ফলস্বরূপ, ট্যাপার্ডার উইকেট হারায় এবং লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। 14 ওভারে তারা 9 উইকেট হারিয়ে 108 রান করতে সক্ষম হয়। সাফারি ব্যাটসম্যান ট্রিস্টান স্টাবস (18) এবং ক্লোজেন (15) কঠোর চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু পাকিস্তান বোলাররা কঠোর বোলিং করে তাদের দলকে জয় এনে দেয়।
পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে শাহিন আফ্রিদি নিয়েছেন ৩ উইকেট।শাদাব খান ২ উইকেট নিয়ে মুগ্ধ। পাকিস্তানের দেওয়া ১৮৬ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ধীরগতিতে খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শুরুর দিকে, ওপেনার ডি কক ফিরলেন হাঁসের মতো। এর কিছুক্ষণ পরই রাইলি রুশো অল্প রানে প্যাভিলিয়নে পৌঁছে যান। এ সময় অধিনায়ক থেম্বা বাভুমা ও মার্ক ক্রুম ধারাবাহিকভাবে খেলেন। কিন্তু একই ওভারে দুজনকে আউট করে পাকিস্তানের ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন শাদাব খান। এরপরই বৃষ্টিতে বিঘ্নিত হয় ম্যাচ। অনেকক্ষণ ম্যাচ আর শুরু হয়নি। কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি থামলে ম্যাচ ১৪ ওভারে নামিয়ে আনা হয়। লক্ষ্য ছিল ১৪২ রান। কিন্তু লক্ষ্যটা কঠিন হয়ে পড়ে সাফারি দলের জন্য যারা ইতিমধ্যেই ট্যাপার্ডার উইকেট হারিয়েছে। কোনো পর্যায়েই তিনি জয়ের যাত্রা করেননি। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা ১৪ ওভারে ১০৮ রানে সীমাবদ্ধ হয়। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। পাকিস্তানের অলরাউন্ডার শাদাব খান (৫২) হাফ সেঞ্চুরি করেন। ইফতিখার মোহাম্মদ (৫১) হাফ সেঞ্চুরি করেন। তাদের দুজনের তেজস্বীতায় পাকিস্তান বিশাল স্কোর গড়তে সক্ষম হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে নর্জে ৪ উইকেট নিয়ে দুর্দান্ত। এই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে জিতলেও সেমিফাইনালে ওঠার জন্য ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে পাকিস্তানের ভাগ্য।