ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঋষি সুনক তার মন পরিবর্তন করেন। জলবায়ু সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার তার সিদ্ধান্ত ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছিল এবং তিনি পিছপা হন।
লন্ডন: ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক অনেক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। বিশেষ করে তার জলবায়ু সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা হয়েছিল শুধু দেশেই নয়, সারা বিশ্বে। এর সঙ্গেই সিদ্ধান্ত বদল করেন ঋষি সুনক। তিনি সম্প্রতি টুইট করেছেন যে তিনি সম্মেলনে যোগ দেবেন।’জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা না নিলে দীর্ঘমেয়াদী সমৃদ্ধি সম্ভব নয়। পুনর্নবীকরণযোগ্য সম্পদ ব্যয় ছাড়া জ্বালানি নিরাপত্তা নেই। সেজন্য আমি আগামী সপ্তাহে ২৭তম জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেব। গ্লাসগোর উত্তরাধিকার অব্যাহত রেখে আমি একটি নিরাপদ, টেকসই ভবিষ্যত গড়ে তোলার কথা বলব” – টুইটারে ঋষি সুনাক
মিশরে ৬ থেকে ১৮ নভেম্বর জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু ডাউনিং স্ট্রিট গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে প্রকাশ করেছে যে প্রধানমন্ত্রী সুনাকের এই সম্মেলনে যোগদানের সম্ভাবনা কম। যুক্তরাজ্যে অনেক পূর্ব-পরিকল্পিত বৈঠক ও কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে তিনি এই সম্মেলনে না আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এতে সুনাকের সমালোচনা হয়। যুক্তরাজ্যের আচরণ উদ্বেগজনক.. ব্রিটেন কি পরিবেশগত সংকট মোকাবেলায় হাত মেলাতে চাইছে? এমন প্রশ্ন করেছেন অনেকেই। এদিকে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এই সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। মনে হচ্ছে এসব ঘটনার পটভূমিকায় ঋষি তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন।গত বছর গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত পরিবেশ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সেই সভাগুলি অলোক শর্মার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যিনি সেই সময়ে ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন। ব্রিটিশ রাজা চার্লস প্রিন্স অফ ওয়েলস হিসেবে সম্মেলনে যোগ দেন।